জাকিরুল আহসান।।
‘ঈদের আনন্দ আগের মতো আর নেই, কেমন যেন রসহীন’ এমন আলোচনা অনেকের মুখে শোনা যায়। এটা কি বয়সের কারণে, নাকি সত্যি সত্যি-ই আনন্দ নেই? নাকি বদলে গেছে ঈদ উদযাপনের ধরন? গত একযুগ আগেও কই না আনন্দ হতো ঈদে।
বিকেল থেকেই শিশু-কিশোর-যুবক বাড়ির সামনে হাজির। সবার অপেক্ষা কখন চাঁদ উঠবে। চাঁদকে এক পলক দেখতে আকাশে তাকিয়ে থাকা। হঠাৎ চিৎকার চাঁদ উঠেছে কাল ঈদ, চাঁদ উঠেছে কাল ঈদ। পুরো বাড়িতে হইচই। এখন চাঁদ দেখা হয় কিন্তু অতো ঘটা করে নয়। টিভির পর্দায় নজর যেন বেশি থাকে।
ভোরে ঘুম থেকে উঠেই সবাই সবান-গামছা নিয়ে পুকুর ঘাটে হাজির। লাইন পড়ে যেত গোসল খানায়। এরপর সবাই নতুন পোশাক পড়ে বের হয়ে যেত ঈদগাহে। শিশুরা কার পোশাক কেমন তা নিয়ে মেতে উঠতো। কারণ ঈদের জামা লুকিয়ে রাখা হতো। ঈদের দিন সকালে ছাড়া বের করা হতো না।
গ্রামের রাস্তাগুলোতে ঈদগাহের দিকে শিশু-কিশোর ও বয়ষ্কদের শ্রোত দেখা যেতো। পুরো গ্রামজুড়ে ঈদগাহ ছিলো ১টি বা ২টি।অনেক মানুষের সমাগম হতো ঈদের জামাতে। এখন বলতে গেলে মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত হয়। তাই অধিকাংশ ঈদগাহের সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।
ঈদের দিন গ্রামের রাস্তাজুড়ে হরেকরকম দোকান বসতো। চটপটি, ফুসকা, খেলনা আর নানান খাবারের দোকানে ভির জমে যেত। লটারির আকর্ষণ ছিলো অন্যতম। চর্কা ঘুরিয়ে লটারি জেতা শিশুদের ছিলো অন্যরকম আগ্রহ। চারদিকে বাশির প্যাঁ-পো শব্দ জানান দিতো আজ ঈদ। এখন আর সেই দোকান বসা আর বাশির আওয়াজ তেমন একটা শোনা যায় না। কেমন যেন পানসে একটা অবস্থা। ঈদ আছে, ঈদের কেনাকাটা আছে, আছে ঈদের জামাত। কিন্তু আমার ছোটবেলার সেই ঈদ গেল কই?
সেই ঈদ গেল কই ?
- এপ্রিল ১১, ২০২৪
- ১:২৭ অপরাহ্ণ
শেয়ার করুনঃ
Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
সর্বশেষ
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন
৯:১৬ অপরাহ্ণ
ববিতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়
৭:১৫ অপরাহ্ণ
আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৫
৭:০২ অপরাহ্ণ
বরিশালে ব্রেক ফেল করা বাসেরচাপায় হেলপার নিহত
৬:১৪ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জন গলাচিপার
৬:০৮ অপরাহ্ণ
গলাচিপায় জাতীয় স্বাস্থ্য ও ৫০ তম কল্যাণ দিবস পালিত
৬:০৬ অপরাহ্ণ