অনলাইন ডেস্ক :: স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও স্বীকৃতি পায়নি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ১৪ টি শহীদ পরিবার। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ভয়াল কাল রাতে নিরীহ বাঙ্গালীর উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায় তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্বের মানচিত্রে যোগ হয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ।
মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে ২ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারায়, শহীদ হয় ৩০ লক্ষ মুক্তিকামী জনতা। লাখো শহীদের সাথে যোগ হয়েছিল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ১৪ জন শহীদের নামও।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে ১১ মে নলছিটি থানায় তৎকালীন এস আই মো. ইউসুফ আলী উপজেলার ১২৬ জন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে থানায় দাওয়াত দেন। এদের মধ্য থেকে ১৪ জন হিন্দু নেতাকে ২ দিন বিনা অপরাধে পরিকল্পিত ভাবে থানায় আটক রাখার পর ১৩ মে পাকিস্তানি দোসরদের সহায়তায় সুগন্ধা নদীর তীরে হাত ও চোখ বেঁধে সারিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করে।
স্বীকৃতি না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- ভাষান পোদ্দার, কেষ্ট মোহন নন্দী, শ্যামা কান্ত রায়, দশরথ কুন্ড, হরিপদ রায়, অক্ষয় কুমার আচার্য্য, কার্তিক চন্দ্র ব্যানার্জী, শচীন্দ্র নাথ দে, অতুল চন্দ্র কুঁড়ি, নেপাল চন্দ্র কুঁড়ি ও সুকুমার বণিক।
সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েও অলৌকিক ভাবে বেঁচে যান ৩ জন। তবে কয়েক দিনের মাথায় তারাও মারা যান। এরা হলেন ক্ষিতীশ চন্দ্র দত্ত, অনিল চন্দ্র দে, কালিপদ মজুমদার।
আজও শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনের খোঁজে তামাকপট্টিখালের মুখে অশ্রু বিসর্জন দেন। এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসেও স্বজনহারা মানুষগুলো শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি না পাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।