বরিশাল বানী ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাশনে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মোঃকামরুল (২২) নামের এক যুবকের উপর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী শিক্ষক কৃষি মোঃ আলী (মামুন) ও তার ভাগ্নে রিয়াদ দ্বারা গুরুতর আহত হয়। আহত কামরুল হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরফকিরা ৬নং ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর মহাজনের ছেলে।
১৩ নভেম্বর শনিবার এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজন ও সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা লক্ষ্য করা যায় ।
চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোঃ কামরুল জানান, খেলার ১ম ইনিংসের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস খেলা বন্ধ করতে বলে। দলীয় ক্যাপ্টেন মোঃ কামরুল বাকি খেলা চালানোর জন্য প্রধান শিক্ষক কে অনুরোধ করে। এতে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে সহঃ প্রধান শিক্ষক মোঃ আলী (মামুন) ও রিয়াদ তার উপর স্টাম্প ও ছুরি দিয়ে হামলা করে।এক পর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে যায়।
স্থানীয় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একজন জানায়, আহত মোঃ কামরুলকে হাসপাতালে নিতে চাইলে মোঃ আালী ও তার ভাগ্নে বাধা দিয়ে কামরুল কে মারার হুমকি দেয়। পরে এলাকাবাসি সহ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত কামরুল স্নাতক শেষ করে মার্স্টাসে ভর্তিরত একজন ছাত্র ।
স্থানীয়রা সাংবাদিককে জানান, অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ আলী (মামুন) এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিদয়ালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাসের যোগসাজসে ভুয়া জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নেয়এবং দীর্ঘ দিন যাবৎ চাকরিও করে আসছে। তারা আরও জানায়,বিকাশ চন্দ্র দাস, মোঃ আলী মামুন ও রিয়াদ সহ হাজারীগঞ্জএলাকায় সন্ত্রাসী প্রভাব খাটাচ্ছে।
বিদ্যালয় চলাকালীন পাঠদান না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ বিক্রি/ রোগী দেখেন সহকারী শিক্ষক আঃ আলী (মামুন)।
১৫ নবেম্বর সোমবার সকালে স্হানীয়রা চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ওই সহকারী শিক্ষক কৃষি আঃ আলী ও বিকাশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান সাংবাদিককে বলেন, স্হানীয়দের অভিযোগ পেয়েছি। হাজারীগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওই স্কুলের সভাপতি। চেয়ারম্যানকে বিষয়টি মিমাংসা করতে নির্দেশ দিয়েছি।
অপর দিকে হাজারীগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ সেলিম হাওলাদার সাংবাদিককে বলেন, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে ফোনে স্কুলের খেলা নিয়ে মারামারি বিষয়টি ফয়সালা করে দিতে বলেছেন। আহত কামরুল সুস্থ হলে উভয় পক্ষকে ডেকে বিচার করবো।
অভিযুক্ত আঃ আলী কামরুল কিভাবে আহত হয়েছেন, তা জানেনা বলে দাবী করেন সংবাদ কর্মীর কাছে।
এদিকে চরফকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত ছাত্র /ছাত্রী, সাবেক ছাত্র/ ছাত্রী ও অবিভাবকগণ অভিযুক্ত নকল সনদ দিয়ে চাকরিরত সহকারী শিক্ষক কৃষি আঃ আলী( মামুন) এবং তাকে সহায়তাকারী প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্হা গ্রহণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।
(চলবে)