৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা ববিতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যাঃ মাদারীপুরে ১৪জনকে আসামী করে মামলা, গ্রেফতার ২

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লিবিয়ায় মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুরে ৩টি মামলা দায়ের করেছে ৩নিহতের পরিবার। ৩ মামলায় ১৪জনকে আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশি হত্যা করে মানব পাচারকারীরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এই ঘটনায় মাদারীপুরের রাজৈরে লিবিয়ায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নামে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে রাজৈর থানায়। এছাড়াও রাজৈর থানার বদরপাশা ইউনিয়নের নিহত রহিম খালাসীর ভাই আবু সাইদ খালাসী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলা জুলহাস সরদারসহ ৭জনকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে একই ঘটনায় লিবিয়ায় নিহত ও মানব পাচারের শিকার মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের মো.শামিমের বাবা আব্দুল হালিম মিয়া বাদী হয়ে রবিবার মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় দালাল নজরুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনায় রবিবার রাতেই মামলার আসামী দিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। দিনা বেগম মানবপাচার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী এবং দালাল নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিহত জুয়েল হাওলাদারের পিতা রাজ্জাক হাওলাদার ও মা রহিমা বেগম বলেন, “আমাদের ছেলেসহ রাজৈরের বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজনকে দালাল চক্র লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪/৫ লাখ টাকা চুক্তি করে নিয়ে যায় ৩/৪ মাস আগে। তারপর লিবিয়ার ত্রিপলী না নিয়ে বেনগাজীতে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। এরপর ভয়েজ রেকর্ডে নির্যাতনের শব্দ পাঠিয়ে আরো ১০ লাখ টাকা দাবী করে। আমরা হোসেনপুর জুলহাস সরদার নামের ওই দালালের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসি। লিবিয়ায় গুলি করে অনেক বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলেকেও পাচারকারীরা হত্যা করেছে।
একই গ্রামের নিখোঁজ মানিক হাওলাদারের পিতা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, “আমার ছেলে মানিককে লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে দালাল জুলহাস আমার কাছ থেকে প্রথমে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে ছেলেকে বেনগাজী আটকে রেখে ভয়েজ রেকর্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দাবী করে। আমি আমার ছেলেকে আনতে জুলহাসের বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসি।’’
রাজৈর থানার ওসি শওকত জাহান বলেন, মানব পাচারের ঘটনায় রাজৈর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। দালাল জুলহাস দুটি মামলারই আসামী। একটি মামলায় ৭জন ও অপর মামলায় ৪জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে জুলহাস করোনা পজেটিভ হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হসাপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে। মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় দিনা বেগম নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সর্বশেষ