৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা ববিতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়

বরিশালে ডাবের সঙ্গে বিষ দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় স্বামীর ফাঁসি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

আইন আদালত।।
আগৈলঝাড়ায় ডাবের পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাইদুল ইসলাম মৃধা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুল ইসলাম বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের আলতাফ মৃধার ছেলে।

নিহত আয়েশা আক্তার আগৈলঝাড়ার পাশের উপজেলা গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার ফজলু কাজীর মেয়ে ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পিপি) ফয়েজুল হক ফয়েজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাইদুল ইসলাম বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই আয়েশাকে ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করেন। বিভিন্ন সময় তাকে মারধর ও যৌতুক না পেলে স্ত্রী আয়েশাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তবে আয়েশার বাবা দরিদ্র হওয়ায় ৩ লাখ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না।

বিষয়টি আয়েশা তার স্বামী সাইদুলকে জানিয়ে ৩ লাখ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন সাইদুল। আয়েশাকে মেরে ফেলে যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার ফন্দি আঁটেন। পরিকল্পনা মতো ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর ডাবের পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করানো হলে আয়েশা মারা যান। পরে আয়েশা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে এলাকায় প্রচার করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চালান স্বামী সাইদুল।

এ ঘটনায় আয়েশার বাবা কাজী ফজলু কাজীর সন্দেহ হলে আগৈলঝাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে সাইদুলকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেয়। ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আয়েশার স্বামী সাইদুল ইসলামকে আজ মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

সর্বশেষ