৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচন: ভোলার তিন উপজেলায় ৩৭ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ভান্ডারিয়ায় ককটেল ফাটিয়ে ও কুপিয়ে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই বরগুনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনেই আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের পাথরঘাটায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা, ৪ জনকে শোকজ কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল মৃত ডলফিন বাউফলে গর্ভে থাকা ভ্রূণ নষ্ট, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণীর অনশন ভোলায় পুলিশে চাকুরী দেওয়ার নামে প্রতারণা : প্রতারক আটক উপজেলা নির্বাচন : গৌরনদীতে তিন প্রার্থীর ব্যতিক্রর্মী প্রচারণা ববিতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়

বরগুনায় নাস্তা তৈরির সময় সন্তান চুরি, স্বামী-শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনায় যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে মারধর করে শিশুসন্তান নিয়ে পালিয়ে যান স্বামী ও শ্বশুর। এ সময় সকালের নাস্তা তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন শিশুটির মা। এ ঘটনায় শিশুসন্তান চুরির অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন স্ত্রী।

বুধবার সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নে দক্ষিণ ইটবাড়ীয়া গ্রামে।

আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার টামটা গ্রামের খোরশেদ আলম ও তার ছেলে রাসেল হোসেন।

জানা যায়, বাদী নুসরাত জাহান ভাবনার সঙ্গে ২০১৮ সালে রাসেল হোসেনের বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পরপরই রাসেল হোসেন ও তার বাবা খোরশেদ আলম ব্যবসা করার জন্য ভাবনার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছেন। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি পুনরায় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে রাসেল হোসেন উত্তেজিত হয়ে ভাবনাকে কিল-ঘুসি-লাথি মেরে মারাত্মক আহত করেন।

নুসরাত জাহান ভাবনা বলেন, আমার স্বামী যৌতুকের দাবিতে ঘটনার রাতে আমাকে মারধর করার পরে ওই রাতেই আমরা মীমাংসা হয়েছি। আমি রাসেলকে বলেছি- আমার বাবা নেই। কিছুদিন পর সম্পত্তি ভাগ করে এনে বিক্রি করে তোমাকে টাকা দেব।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমি ও আমার মা মোর্শেদা আক্তার তাদের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি করতে ব্যস্ত থাকি। এই ফাঁকে রাসেল ও আমার শ্বশুর খোরশেদ আলম আমার শিশুসন্তান রাবেয়াকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি রাসেলের কাছে ফোন করে আমার শিশুসন্তানকে চাইলেও ফেরত দেয়নি। বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে তারা ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম।’’

সর্বশেষ