৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উলানিয়া বন্দরে ইজারাদারের বিরুদ্ধে জোর জলুমের অভিযোগ, ব্যাবসায়ীরা হুমকির পথে

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া ট্রলার ঘাট ইজারাদারের অনিয়মে ব্যাবসায়ীরা হুমকির পথে বলে অভিযোগ করছেন স্থায়ী ব্যাবসায়ী ও দূরদূরান্তে ক্রেতা সাধারন। ১০’জুন শুক্রবার উলানিয়া ঐতিহ্যবাহী বন্দরের ট্রলার ঘাট এলাকায় সাপ্তাহিক বাজারে দূরদূরান্তের কোন ট্রলার না আসায় ব্যাবসায়ীরা বেচাঁ- বিক্রি করতে না পেরে লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পরেছেন। বন্দরে অনেক পুরোনো কাঠ ব্যাবসায়ী মোঃ সহিদুল ইসলাম, আশ্রাফ ফরাজি, মোঃ মোকসেদুল, মোঃ শাহ আলম, আমির হোসেন, মোঃ সবুজ ও মোঃ কামাল ব্যাপারীসহ সেনেটারী রিং স্লাব ব্যাবসায়ী মোঃ শাহ আলম, নারী ব্যাবসায়ী মোসাঃ বুবলী, মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, মোঃ চানঁ মিয়া, মোঃ শামীম, ক্ষুদ্র হোটেল ব্যাবসায়ী মোঃ সেলিম ঘরামী, বিউটি রানী, সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যাবসায়ীরা বলেন বর্তমান বাজার ওঘাট ইজারদার মোঃ জাহাঙ্গীর পারবেজ এবং তার লোকজন অনিয়ম আর জোর জবরদস্তি অত্যাচারে আমরা আজ দিশেহারা হয়ে পরছি। তারা যখন যার ইচ্চা মতো বাজারের দিনে দূরদূরান্তের ট্রলার গুলো থেকে মন গড়া টাকা আদায় করছে, প্রতিবাদ করলে মারধরের ঘটনাও ঘটছে। যার ফলে দূরদূরান্ত থেকে কোন ট্রলার আসেনি বেচাঁ- বিক্রিও হয়নি। ক্ষুদ্র খাবার হোটেল এর সেলিম ঘোরামি ও বিউটি রানী জানান, আজ আমরা ভাত বিক্রি করতে পারিনি, কিভাবে মাছ তরকারী দাম দিবো? দিন মুজুর ট্রলার ঘাটের লেবাররা বলেন, ইজারদারের জোর জুলুম এর কারনে আজ কোন ট্রলার আওয়ায় কোন ব্যাবসায়ীরা বেচাঁ- বিক্রি করতে পারেনাই, আমাগো একটাও কামাই হয়নাই! কি নিয়া বাড়ি যামু বলে দুঃশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পরেন। গাছের চারা ব্যাবসায়ী মোঃ রাজ্জাক প্যাদা বলেন বরিশাল থেকে এনে ছোট ছোট বিভিন্ন প্রজাতির চারা বিক্রি করে কিছু আয় হতো, কিন্তু আজ কোন ট্রলার ঘাটে কোন ট্রলার এবং ক্রেতা না আসায় আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। এই অনিয় ও জুলুমবাজ থেকে রক্ষা পেয়ে দু মুঠো ডাল ভাত খেয়ে বাচঁতে চাই। এছাড়া ইজারদার এ চলতি বছরে ১৪২৯ বাংলা এবং ২০২২সালের মোট ৪১ জন কাঠ ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে জন প্রতি বাৎসরিক খাজনা অনুযায়ী দুই হাজার করে টাকা এককালিন আদায় করে নিয়েছেন। কথা ছিলো বাজার ও ঘাট ইজারাদার এবং তাদের লোকজন ব্যাবসায়ী কাজে কোন রকমের জোর জুলম করবেনা। কিন্তুু সে কথা না রেখে উল্টো তাদের মনগড়া খাজনা আদায় করে উপর মহলে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নাম ব্যাবহার করে ক্রেতা বিক্রিতার মাঝেঁ বিভেদ তৈরী করে সৈরাচারী শাসন করে চলছে। এর কোন সুষ্ঠ সমাধান না হলে নিজেদের জীবন মান রক্ষায় তারা কঠিন কর্মসূচী গ্রহন করবেন বলে হুশিয়ারী দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ট্রলার ঘাট ইজারাদার মোঃ জাহাঙ্গীর পারবেজ এবং হুমায়ুন শিকদারের কাছ থেকে জানা যায়, ১৪২৯ বাংলা ২০২২ ইং সালে এবছরে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এ হাঠবাজার ও ট্রলার ঘাটের ইজারা এনেছেন। তারা কোন অনিয়ম ও জুলুম করেননি। এঘনার ব্যাপারে আমার এ সপ্তাহের মধ্যেই ব্যাবসায়ী সাথে বসে একটি সমাধানে যাবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার মুঠোফোন জানান, ইজারদার এটা করতে পারেনা, জোর জলুম সহ্য করা হবেনা। যদিও এখনো পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তারপরেও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

সর্বশেষ