৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

টিওবয়েলের পানি নেওয়াকে কেন্দ্রকরে হামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ আহত-৪

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে টিওবয়েলে পানি নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও কিল ঘুষি মেড়ে স্বামী- স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৪ জনকে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাঠা গ্রামের খান বাড়ীতে।
স্থানীয় ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সারে ১০টার দিকে উপজেলার বৈঠাকাটা গ্রামের খান বাড়ীতে আব্দুল হালিম খানের মেয়ে নাদিয়া (১৯) ও নাদিয়ার ছোট ভাই তাহমিদ খান (৮) বাড়ীর মসজিদের কাছে টিওবয়েলে খাবার পানি আনতে যায়। তখন একই বাড়ীর আবু সালেহ খান ও আল আমিন খান তাদের টিউবয়েল থেকে পানি নিতে নিষেধ করেন। টিউবয়েল থেকে পানি নিতে নিষেধ করার বিষয়টি কন্যা নাদিয়ার কাছ থেকে শুনে পিতা হালিম খান প্রতিপক্ষ আবু সালেহ খান ও আল আমিন খানের কাছে জানতে ঘটনাস্থলে যায়। কেন পানি নিতে নিষেধ করা হয়েছে বিষয়টি জানতে তাদের উভয়ের মধ্যে কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবু সালেহ খান ও আল আমিন খান আব্দুল হালিম খানকে মারধোর শুরু করে। এসময় হালিম খান দৌড়ে তার নিজ বাড়ীতে চলে গেলে সেখানে গিয়ে প্রতিপক্ষ আল আমিন খান, আবু সালেহ খান ও তাদের সাথে থাকা লোকজন লাঠি নিয়ে বাড়ীর মধ্যে বসত ঘরে প্রবেশ করে পুনঃরায় হালিম খানকে পিটিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে আহত করে। এসময় হালিম খানকে রক্ষায় তার স্ত্রী নাজমা বেগম বেগম (৪০) কন্যা নাদিয়া (১৯) ও পুত্র তাহমিদ খান (৮) বাঁধা দিলে তাদেরকেও কিল ঘুষি মেরে আহত করে।
আহতদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা চলে আসলে আবু সালেহ খান, আলমিন খান ও তাদের সাথে লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
আহত আব্দুল হালিম খান বলেন, আমার মেয়ে মসজিদের কাছের টিউবয়েলে পানি আনতে গেলে আল আমিন খান ও আবু সালেহ খান টিউবয়েল থেকে পানি নিতে নিষেধ করে। বিষয়টি শুনে আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে গেলে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আমাকে লাঠি দিয়ে ও কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। আমি দৌড়ে আমার বাড়ীর বসত ঘরে উঠলে সেখানে এসে ঘরে প্রবেশ করে আমাকে আবার কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। এসময় আমার স্ত্রী ও ছেলে- মেয়ে আমাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে আসলে তাদেরকেও মারধোর করে আমার ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্ত্রী ও মেয়ের গলায় থাকা স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু সালেহ খান মারধোরের কথা অস্বীকার করেন বলেন, পারিবারিকভাবে একটু ঝামেলা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফারজানা আক্তার দিনা মুঠেফোনে জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ