৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে দেবে না পিরোজপুরের ব্যবসায়ী সমিতি

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন পিরোজপুরের ব্যবসায়ীদের সংগঠন জেলা চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব।

গোলাম মাওলা নকীব বলেন, ‘আমরা পিরোজপুর জেলা ব্যবসায়ী সমিতি কোনো তরমুজ ব্যবসায়ীকে কেজি হিসাবে বিক্রি করতে দেব না। প্রতিদিন ব্যবসায়ী সমিতি বাজার মনিটরিং করবে।’

তিনি বলেন, ‘কেজিতে নয়, পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে হবে। কেজিতে বিক্রি করলে আমরা আপনাকে পিরোজপুর তরমুজ বিক্রি করতে দেব না। আপনারা যেভাবে ক্রয় করে থাকেন, সেইভাবে বিক্রি করবেন।’

তিনি জানান, রমজানে তরমুজের চাহিদা ব্যাপক থাকে। তাই তরমুজ ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে দামও হাকান বেশি। তারা বেশি মুনাফার আশায় পিস হিসেবে কিনে কেজি হিসাবে বিক্রি করে থাকেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পিরোজপুর জেলা শহরের দোকানে দোকানে ঘুরে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ দেন গোলাম মাওলা নকীব।

গোলাম মাওলা নকীব বলেন, এবারের রমজানে জেলার অধিবাসীরা তাদের চাষকৃত তরমুজ খেতে পারবে না। কেননা এ জেলার তরমুজ চাষিরা আগাম তরমুজ চাষ করে না। রমজানের পরে এপ্রিলের শেষ দিকে বাজারে পাওয়া যাবে এ জেলার তরমুজ। রমজানে তরমুজের চাহিদা বেশি থাকায় দামও অনেক বেশি।

তরমুজ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘বাজারে এখন পিরোজপুরের তরমুজ পাওয়া যায় না। আমরা যারা এখন তরমুজ বিক্রি করে থাকি, তা খুলনা এবং ভোলা থেকে পাইকারি কিনে এনে বিক্রি করি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, এবার পিরোজপুরে প্রায় ৪ হাজার মেট্টিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। আর মোট ১১৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলে দিন দিন তরমুজ চাষ কমে যাচ্ছে। আগে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হলেও বর্তমানে তা কমে ১১৫ এসে দাঁড়িয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে আরও জানা যায়, জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে পিরোজপুর সদর ও নাজিরপুর উপজেলা তরমজু চাষ করা হয়।

এ বছর জেলার সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন মৌলাঙ্গীর চর, আন্ধার মানিকের চর, নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর চর ও অন্ধার মানিক চরের এক অংশে তরমজু চাষ করেছেন ওই এলাকার চাষিরা। এক সময় উপজেলা মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা চরে চাষ হলেও এখন আর হয় না।

পিরোজপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সিপন চন্দ্র ঘোষ জানান, জেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন, বলেশ্বর নদের তীরঘেঁষা মৌলাঙ্গীর চর ও আন্ধার মানিক চরের ১০০ হেক্টর জমিতে এবার তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

নাজিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ইশরাতুন্নেছা এশা জানান, দিন দিন এই উপজেলার চাষিরা তরমুজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।

জেলার মৌলাঙ্গীর চরে তরমুজ চাষি জামাল শেখ জানান, তিনিসহ তার চার ভাই সবাই তরমুজ চাষ করেন। এবার তিনি ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। আগামী একমাস যদি কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ