মেডিকেল প্রতিনিধি : বরিশাল জেলার মুলাদী থানায় বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ফাহিমা বেগম(২৬) ও তার চাচী শাশুড়ি ফাতেমা বেগম (৪৫)কে মারধর করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (১এপ্রিল) ও মঙ্গলবার (২এপ্রিল) দফায় দফাই তাদের উপরে এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হল ওই থানার পশ্চিম সাহেবচর গ্রামের বাসিন্দা তুহিন মিয়ার স্ত্রী ফাহিমা বেগম ও জেলাল মৃধার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। বর্তমানে আহতরা মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা বিশাই হাওলাদার এর ছেলে কামাল গংদের সাথে বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এ সীমানাকে নিয়ে কামাল হাওলাদার গংরা বিভিন্ন সময় আহতের পরিবারের উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে ।
ওই জমির সীমানা নিয়ে উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব বিরাজমান ছিল। ঘটনার দিন আহত ফাহিমা বেগমের ছাগলের ঘর সীমানা থেকে ভেঙে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা । এ সময় তাদেরকে বাধা প্রদান করলে কামাল হাওলাদার ,রিপন হাওলাদার ,জামাল হাওলাদার, রাহাত হাওলাদার, অজেদা বেগম, রুনু রূপা সহ অজ্ঞত ৩-৪ জন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও সীমানা জমি তারা জোরপূর্বক ভাবে ভোগ দখলের চেষ্টা চালায় এবং ছাগলের ঘর ভেঙে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতদের ডাক চিৎকার শুনে ছুটে এসে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিমে প্রেরণ করে। বর্তমানে তারা এ হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতের স্বজন তুহিন জানান , প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী কামাল হাওলাদার গংরা আমাদের সীমানা জমি দখল করে এবং আমার স্ত্রী ও চাচিকে মারধর করেও ক্ষান্ত হয়নি এখন আমাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে । আমি ও আমার পরিবার প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমি এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
আহত ফাহিমা ও ফাতেমা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে ও জানান ওই ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।