১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাউফলে বিএনপি নেতার বাড়িতে ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’ স্টিকার কাঁঠালিয়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন ঝালকাঠি মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে শোকজ তালতলীতে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন স্বামী-স্ত্রী পাথরঘাটায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দুমকিতে মাহফিলের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নেছারাবাদে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১ বরিশালের ৩ উপজেলায় ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা মুলাদীতে ভোটারদের টাকা বিতরণের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

রাজাপুরে প্রশাসনের অদেশ অমান্য করে সরকারি খালে ব্যক্তিগত সেতু

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

রাজাপুর প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়ায় দেড়শত বছরের সরকারি খালে আইন ও সরকারি বিধি-বিধান লঙ্গন করে এক পরিবারের স্বার্থে ব্যক্তি উদ্যোগে অ-পরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ন সেতু নির্মান কাজ রাজাপুরের উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করে দিলেও ২৯ মার্চ থেকে আবারো সেতু নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ঝুঁকিপুর্ন ও অপরিকল্পিত সেতু নির্মান বন্ধের জন্য স্থানীয় লোকজন জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা ও এলজিইডিতে লিখিত আবেদন করলে রাজাপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাসান মোহাম্মদ শোয়াইব অবৈধ সেতুটির নির্মান কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ২৯ মার্চ থেকে আবারো নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত আবেদন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ,উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশকাহনিয়ায় (মৃধা খাল নামে পরিচিত) দেড়শত বছরের সরকারি খালে আইন ও সরকারি বিধি -বিধান অমান্য করে নেভিগেশন ছাড়পত্র বিহীন ব্যক্তি উদ্যোগে পারিবারিক সেতু নির্মান হচ্ছে এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড,পরিবেশ অধিদপ্তর এর প্রত্যায়ন ছাড়াই ।

অ-পরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ন এই সেতুতে প্রানহানীর আশংকা রয়েছে। সেতুটি নির্মানের ফলে সাধারন মানুষের কোন উপকার হবেনা। ব্যক্তিস্বার্থের এই সেতুটি নির্মান হলে সরকারি এ খালটিতে পানির প্রবাহ কমে যাবে।নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হবে। অ – পরিকল্পিত ও ঝুকিঁপুর্ন এ সেতুটি নির্মানের ফলে সাধারন মানুষের প্রানহানী,সহায়- সম্পদ বিনষ্ট এবং পানির প্রবাহ বন্ধ হলে এর দায়দ্বায়িত্ব কে নিবে ?বলে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারন মানুষ।

চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের মৃত আতাহার আলীর পুত্র সাইদুল ও কামরুল সেতুটি নির্মান করতেছে। জনবহুল এ খালটিতে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক ও পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জন্য এলজিইডি বিভাগ খালটি খনন কাজ করতেছে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে। ফলে জেলে সম্প্রদায় ও কৃষকরা উপকৃত হবে।উপকৃত হবে শত শত পরিবার।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়,জলপথে স্থাপনাদি নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী নৌপথে সেতু নির্মাণ করতে হলে বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু নির্মানাধীন সেতুতে বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নেয়া হয়নি। নেভিগেশন ক্লিয়ারেন্স ছাড়া অবৈধ এ নির্মানাধীন সেতু বন্ধ না করা হলে ভোগান্তির সৃষ্টি হবে।
নির্মানাধীন এ অবৈধ সেতুতে কোন আইন বিধি -বিধান মানা হয়নি।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি বারের সদস্য এ্যাডভোকেট মানিক আচার্য বলেন,আমি রাজাপুরের ইউএনওর সাথে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাষ দিয়েছেন।তিনি বলেন,এলজিইডি,পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়,বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ,পানি উন্নয়ন বোর্ড,পানি সম্পদ পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান (ডব্লিউ এ আর পি ও )পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া সরকারি খালে সেতু নির্মান সম্পুর্ন অবৈধ এবং একটি ফৌজধারী অপরাধ।

তিনি বলেন,পানির প্রবাহ, নাব্যতা এবং নৌচলাচলে বাধাগ্রস্থ হওয়াসহ পর্যবেক্ষন এবং পরিকল্পনা ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে সেতু নির্মান অপরাধ।এলজিইডির সার্কুলার ও নির্দেশিকা রয়েছে সেতু নির্মানের ব্যাপারে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মামুনুর রশীদ নোমানী বলেন,প্রশাসন অবৈধ সেতুটির নির্মান কাজ বন্ধ করে দিলেও কিভাবে পুন:রায় অবৈধভাবে সেতুটি নির্মান কাজ করছে তা আমার জানা নাই।

এ ব্যাপারে অবৈধভাবে সরকারি খালে পারিবারিক সেতু নির্মানকারী সাইদুল বলেন,আমরা প্রশাসন গুজ করে সেতু নির্মান করতেছি।টাকা থাকলে বাঘের চোখ মেলে।তিনি এও বলেন,আমরা টাকা দিয়া সেতু করতেছি আমাদের খালে তাতে সরকারের কি।টাকা থাকলে কে কি করবে।

এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন সাংবাদিকদের বলেন,অবৈধভাবে নির্মিত সেতুটির কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তারা আবার কিভাবে নির্মান কাজ করতেছে বিষয়টি দেখবো।

অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপুর্ন এ সেতুটি নির্মানে হলে বিপাকে পড়বে সাধারন মানুষ। চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে নৌযান।
পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে।মানুষের প্রানহানী ঘটতে পারে।সেতুটি বিধ্বস্ত হলে মানুষ এবং মানুষের সম্পদ নষ্ট হওয়ার আশংকা করেছেন এলাকার সচেতন লোকজন।

স্থানীয় লোকজন সরকারি খালে একটি পরিবারের ব্যক্তি স্বার্থে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মানাধীন ঝুঁকিপুর্ন সেতুটির নির্মানকাজ বন্ধের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জোড় দাবী জানিয়েছে।

সর্বশেষ