১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বাউফলে বিএনপি নেতার বাড়িতে ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’ স্টিকার কাঁঠালিয়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন ঝালকাঠি মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে শোকজ তালতলীতে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন স্বামী-স্ত্রী পাথরঘাটায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দুমকিতে মাহফিলের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নেছারাবাদে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১ বরিশালের ৩ উপজেলায় ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা মুলাদীতে ভোটারদের টাকা বিতরণের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

পটুয়াখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডঃ ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

জালাল আহমেদ,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী পৌর শহরের মিঠাপুকুর পাড় এলাকায় ভয়াবহ অগ্নকান্ডে একটি তেলের গোডাউনসহ ১৪ টি দোকান ও ২৮ টি বসতঘর ভষ্মীূভুত, ক্ষতি আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা। এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীর বই খাতার কোন চিহ্ন নাই। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলামসহ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করার পাশাপাশি ক্ষয় ক্ষতি নিরুপন করছেন।
গত ৩ মে বুধবার বিকাল আনুমানিক ৬ টার দিকে পৌর শহরের মিঠাপুকুর পাড় এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পটুয়াখালী জেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ৬টিসহ পার্শ্ববর্তী জেলা বরগুনা ও বরিশালের মোট ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আড়াই ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছেন বলে পটুয়াখালীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফিরোজ আহম্মেদ জানান। জেলা প্রশাসক মোঃ শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড: মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. গোলাম সরোয়ার, জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথসহ বিশিস্টজনরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের শান্তনা দেন। এ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১৪ টি দকানের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছেন তেল গোডাউনের মালিক মোঃ হারুন অর রশিদ। তিনি (হারুন অর রশিদ) জানান, তার ক্ষতি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাক। এছাড়া অন্যসব দোকান সমূহ সম্পূর্নভাবে পুড়ে ছাই হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা হচ্ছেন মোঃ হারুন অর রশিদ, জাকির গাজী, আবু মিয়া, শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আসাদ, শান্তি ঘোষ, অঞ্জন দাস, সজল কর্মকার, অমিত দাস, স্বপন দাস, ক্ষতিগ্রস্থ বসতঘর মালিকরা হলেন- পরিমল কর্মকার, অনিক দাস, গোসাই ঘোষ, মিলন দাস, ফোরকান হাওলাদার, তপন দত্ত, শিল্পী দাস, শ্যামল চন্দ্র, সনজিত কর্মকার, কমল কুন্ডু, অনিতা রানী, বিনা দাস, সন্ধ্যা রানী, মিতু দাস, চৈতি দাস, মনি রানী দাস, অথৈ সাহা, শিবু কর্মকার, অর্নিবান সুকুল, হাসি রানী, রিনা মিস্ত্রী, সোহরাব মৃধা, অর্চনা দাস। এ ছাড়াও আগুনের তাপে আংশিক অনেক দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে কাউন্সিলর জাহিদ হোসাইন জানান। কাউন্সিলর জাহিদ হোসাইন নিজ উদ্যগে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু- কিশোরদের মাঝে সকালে খিচুরী রান্না করে বিতরন করেন। দুপুরেও খাবার বিতরন করেন বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান।

সর্বশেষ